পৃষ্ঠাসমূহ

আমরা মুসলিম না মুমিন ?


আমরা মুসলিম না মুমিন ?


আমরা অনেকেই জানিনা মুসলিম আর মুমিনের মধ্যে পার্থক্য আছে, যে পার্থক্যটা পবিত্র কুরআনে পাকে বর্ণিত আছে ।

এখানে আমরা মুসলিম ও মুমিন এর মধ্যে পার্থক্য জানবো ।

১। মুসলিম = এক আল্লাহ্‌র কাছে আত্মসমর্পণ করা, (সূরা হুজুরাত-৪৯ঃ১৪)
২। মুমিন = এক আল্লাহ্‌র কাছে আত্মসমর্পণ করা সাথে নবী রাসুল (সঃ) এবং ইসলাম ধর্মীয় বিধান  বিশ্বাস করা এবং সেঅনুযায়ী জীবন যাপন করা। (সূরা আনফাল-৯ঃ২-৪)

আতএব, আমরা বলতে পারি যে সকল মুমিনই মুসলমান কিন্তু সকল মুসলমান মুমিন কি না তা শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ই জানেন।

এরপরেও কুরআনে সূরা কাসাস (২৮ঃ৫৩) –তে বলা আছে “যখন তাদের নিকট এটা আবৃতি করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা এতে ঈমান আনি, এটা আমাদের প্রতিপালক হতে আগত সত্য। আমরা তো পূর্বেও আত্মসমর্পণকারী ছিলাম।

এখানে আমি সামান্য কিছু তথ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ ।

কালেমা তৈওবা


লা ইলাহা ইল্লালহু মুহামাদুর রসুললুল্লাহ ( সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )
Ami Muslim

লা ইলাহা ইল্লালহু মুহামাদুর রসুললুল্লাহ ( সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )

সকাল সন্ধার দোয়া ও আমল

সকাল সন্ধার দোয়া ও আমল

আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ “তোমার প্রতিপালককে মনে মনে ভয় ও বিনয়ের সাথে নিচুস্বরে সকালে ও সন্ধ্যায় (সন্ধ্যা কথাটি দ্বারা অর্থ হচ্ছে আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়) স্মরণ কর, আর তুমি উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না।” [আ’রাফঃ ২০৫]
তিনি আরও বলেছেনঃ “সূর্যের উদয় ও অস্ত যাওয়ার পূর্বে প্রশংসা সহকারে তোমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা কর।” [সুরা ত্বোয়া হাঃ ১৩০]
নবী ﷺ বলেন, “যে ব্যক্তি তার রবের যিকর (স্মরণ) করে, আর যে ব্যক্তি তার রবের যিকর করে না, তাদের তুলনা হচ্ছে যেন একজন জীবিত অন্যজন মৃত।”
রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আরও বলেছেন, “আমি কি তোমাদেরকে তা জানাবো না, কোন আমল সর্বোত্তম, যা তোমাদের মালিক (আল্লাহ্ এর) কাছে যা অত্যন্ত পবিত্র, তোমাদের জন্য যা অধিক মর্যাদা বৃদ্ধিকারী, (আল্লাহ্ এর পথে) সম্পদ ব্যয় করার তুলনায় যা তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে হত্যা এবং তারা তোমাদের হত্যা করার চাইতেও অধিকতর শ্রেষ্ঠ?” সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ। তিনি বললেন, সেটা হলো “আল্লাহ্ তা‘আলার যিকির।”
ইবনে মাজাহঃ ২/৩১৬, সহীহ, শায়খ আলবানী, সহীহ তিরমিজী ৩/১৩৯।
সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরঃ প্রাণপন চেষ্টা করুন দুআ’গুলো মুখস্থ করে প্রতিদিন আমল করার জন্য চেষ্টা করুন।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাহ থেকে যিকিরের জন্য ৩টি বিশেষ সময় পাওয়া যায়। আর তা হলোঃ
১. সকালে (ফযরের পরে)।
২. সন্ধ্যায় (আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত)।
৩. রাতে ঘুমানোর আগে।
 দোয়াগুলো নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন ৷
✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅
✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅✅
আল্লাহ হাফেজ ৷৷

সিজদায়ে সাহু ও ১৫ টি ভুল..!!

1.      আপনার নামায/সালাতের ভিতর যদি কোন ওয়াজীব তরক হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সাহু সিজদা দিতে হবে। যদি না দেন তাহলে আপনার নামায হবে না।
2.      সাহু সিজদা দেয়ার নিয়ম হল: শেষ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়ে শুধু ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে টি অতিরিক্ত সিজদা দেওয়া । সকল সিজদার মাঝখানে অবশ্যই তাসবীহ পরিমান সোজা হয়ে বসতে হবে। তারপর আবার আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ শরীফ দোয়া মাসুরা পড়ে নামায শেষ করতে হবে। তবে নামাযে যদি কোন ফরয তরক হয়ে যায় তাহলে সাহু সিজদা দিয়ে কোন লাভ হবে না। আবার নতুন করে নামায পড়তে হবে
3.      এখানে সহজ ভাবে নামাযে কখন সাহু সিজদা দিতে হবে আর কখন দিতে হবে না এই মাসলা- মাসায়েল গুলি নিয়ে আলোচনা করবো। ( সাহু সিজদার এই মাসায়েল, ছেলে মেয়ে উভয়ের নামাযের ক্ষেত্রেই সমান।)
4.      যদি জামাতে নামায পড়েন তাহলে ইমাম সাহেব যদি সাহু সিজদা দেন তবে দিবেন। আর যদি জামায়াতে দেরি করে, মানে বা বা রাকাত পরে উপস্থিত হন আর যদি ইমামের সালাম ফিরানোর পর নিজে পড়ার রাকাতে কোন ওয়াজীব তরক হয়ে যায় তাহলে  সাহু সিজদা দিবেন। নিচে আরো কিছু ক্ষেত্র দেয়া হলো:----
Ø  . ফরজ নামাযের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজীব। যদি ফরজ নামাযের প্রথম রাকাত বা ২য় রাকাত বা উভয় রাকাতেই সুরা ফাতেহা ভুল বশত না পড়েন তাইলে সাহু সিজদা দিতে হবে। আবার ফরজ নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়া সুন্নত। তবে যদি কোন ফরজ নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহার পর অন্য সুরাহ পড়েন বা না পড়েন,  সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না
Ø  . ফরজ নামাযের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য একটি সুরা মিলানো ওয়াজীব। যদি  ভুল বশত ফরজ নামাযের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য কোন সূরা না পড়েন তাহলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে।
Ø  আবার ফরজ নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য কোন সুরা পড়ার নিয়ম নেই। তবে  ভুল বশত ফরজ নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য কোন সুরা পড়ে ফেললেও সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না,যা আগেই বলা হয়েছে
Ø  . সুন্নত নফল সব নামাযেই সকল রাকাতেই সুরা ফাতেহা পড়া সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য একটি সুরা মিলানো ওয়াজীব। যদি যে কোন সুন্নত/নফল নামাযের যে কোন রাকাতে সুরা ফাতেহা বা সুরা ফাতেহার পর অন্য একটি সুরা না পড়েন তাহলে আপনার একটি ওয়াজীব তরক হলো, এতে  অবশ্যই সিজদায়ে সাহু দিতে হবে
Ø  . ভুল করে যে কোন রাকাতে রুকু বা সিজদা দিলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে
Ø  . সুরা ফাতেহা পড়ার পর এখন কি সুরা পড়বো এই চিন্তায় যদি তসবীহ পরিমান সময় চলে যায় তাইলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। অথবা কোন সুরার কোন আয়াত ভুলে গেছেন আয়াত কে স্মরন করার জন্য যদি তসবীহ পরিমান সময় চলে যায় তাইলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে অই সুরাহ বাদ দিয়ে অন্য সুরা শুরু করলে সাহু দিতে হবে না।
Ø  . ফরয সুন্নত নামাযের ১ম বৈঠকে যদি ভুলে বার আত্তাহিয়্যাতু পড়ে ফেলেন -সাথে দরুদপাঠ দোয়া মাসুরা পড়েন তাহলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবেনা, ১ম বার উচ্চারণ ভুল হওয়ায় আবার ইচ্ছা করেও ২য় বার পড়লেও সাহু সেজদা দিতে হবে না
Ø  আবার ফরয সুন্নত নামাযের ২য় রাকাতের ১ম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর যদি দুরুদ শরীফের আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ পর্যন্ত পড়ে ফেলেন তাইলে শেষ বৈঠকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে এরচেয়ে কম পড়ে ফেললে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না
Ø  . যেকোন বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় যদি ভুলে সুরা ফাতেহা পড়ে ফেলেন তাহলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে নিয়ত বাধার সময় ছানার বদলে ভুলে দোয়া কুনুত পড়ে ফেললে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না
Ø  . তিন বা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে ২য় রাকাতের প্রথম বৈঠক ভুলে গেছেন এবং ৩য় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেছেন, যদি অর্ধেকের কম দাঁড়িয়ে থাকেন তাইলে বসে পড়বেন এবং আত্তাহিয়্যাতু পড়ে ৩য় রাকাতের জন্য দাড়াবেন। এই অবস্থায় সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না, কোমর সোজা হলেই তবে সাহু দিতে হবে
Ø   . যোহর এশার ৪র্থ রাকাতে বসতে মনে নাই। একদম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ৫ম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেছেন। তাও মনে হবার সাথে সাথে বসে পড়বেন। আত্তাহিয়্যাতু দুরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবেন। এক্ষেত্রে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে আর যদি ৫ম রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ে ফেলেন এবং রুকুও করে ফেলেন তাহলেও বসে পড়বেন। এই অবস্থায় সিজদায়ে সাহু দিতে হবে।
আর যদি রুকু করার পরও মনে না হয় যে ভুল হচ্ছে, তাহলে আরো রাকাত পড়ে মোট রাকাত পড়বেন। এক্ষেত্রে শেষ রাকাত নফল প্রথম রাকাত ফরয হিসাবে আদায় হবে
Ø  . নামায রাকাত পড়েছেন না রাকাত পড়েছেন এই রকম সন্দেহ যদি কখনোও হয়ে থাকে তাহলে কম টা ধরে নিয়ে বাকি টা পড়তে হবে, যেমন নাকি সন্দেহে ধরতে হবে
Ø  ১০. নামায শেষ হওয়ার পর সালাম ফিরানোর পর যদি নামায রাকাত পড়েছেন না রাকাত পড়েছেন এই রকম সন্দেহ যদি হয়ে থাকে তাহলেও কম টা ধরে নিয়ে বাকিটা (মসজিদ থেকে বাড়ি আসলেও) পড়ে সাহু সেজদা দিলে হয়ে যাবে।।আর যদি স্পষ্ট ভাবে মনে পড়ে যে নামায রাকাত পড়েছেন এবং  কিবলামুখি হয়ে বসে আছেন এবং কারো সাথে কথা বলেন নি তাহলে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যেয়ে আরেক রাকাত পড়ে সিজদায়ে সাহু করে সালাম ফিরাবেন। তবে কারো সাথে কথা বলে ফেললে /, নামাজ বা অজু কারণ দেখা দিলে নামায পুনরায় পড়তে হবে
Ø  ১১. একই নামাযে সিজদায়ে সাহু করার একাধিক কারন পাওয়া গেলেও একটি সিজদায়ে সাহু করলেই হবে
Ø  ১২. বিতর নামাযে দোয়া কুনুত না পড়েই রুকুতে চলে গেছেন সাহু সেজদা দিতে হবে, আর দোয়া কুনুতের জায়গায় অন্য দোয়া, দরুদ পড়ে ফেলেছেন তাহলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবেনা, এটা মুলত এমন যেখানে আপনার নিজের, পরিবারের, দেশের জন্য দোয়া করতে পারেন, কুনুত মুল কথা নয়
Ø  আর যদি দোয়া কুনুতের জায়গায় অন্য কিছু পড়ে ফেলেছেন কিন্তু মনে হবার সাথে সাথে দোয়া কুনুতও পড়েছেন তাহলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না। অনেক কিছু পড়তে পারেন এখানে
Ø  ১৩. চার রাকাত বিশিষ্ট কোন নামাজে ২য় রাকাতে বসে তাশাহহুদের পর দরুদ দোয়া মাসুরা পড়ে ফেলেছেন, সমস্যা নেইদাঁড়িয়ে পড়ে বাকি রাকাত পড়ে সাহু সেজদা দিবেন। উল্লেখ্য, দিক বা দিকেই সালাম ফিরিয়ে ফেললে দাঁড়িয়ে বাকি নামাজ পড়ে সাহু সেজদা দিলে হয়ে যাবে
Ø  ১৪. রুকুতে সেজদার, সেজদাতে রুকুর তাসবীহ পড়ে ফেললে সমস্যা নেই। এটা আমরা একমাত্র তাসবীহ মনে করি যা ভুল। সেজদা রুকুতে তাসবীহ মুলক ১০-১২ রকম তাসবীহ পড়া যায়
Ø  ১৫. রুকু থেকে সোজা না দাঁড়িয়ে অথবা (রব্বানা লাকা আল হামদ) পুরো না পড়েই সেজদায় গেলে সাহু সেজদা দিতে হবে
আবার সেজদায় পুরো তাসবীহ বার না পড়ে মাথা উঠালে অথবা সেজদার মাঝখানে তাসবীহ পরিমান না বসলে —-সাহু সেজদা দিতে হবে
আসুন সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করি।